গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : দুলাভাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে এক কলেজ ছাত্রী। রবিবার সে শংকামুক্ত হওয়ায় নিবির পর্যবেক্ষণ ইউনিট থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান ভিকটিমের চাচা আবুল কালাম আজাদ। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।

ভিকটিমের বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী তারাকান্দা উপজেলার কালুনীকান্দা গ্রামের মৃত মীর কাশেমের ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া (২৮) এর সাথে তার বড় মেয়েকে ৩বছর পূর্বে বিয়ে দেন। ৪/৫মাস ধরে তার ছোট মেয়ে (১৭) কে নানাভাবে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো সোহেল মিয়া। ঘটনাটি ছোট মেয়ে তার বড় বোনসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়। এ বিষয়ে বড় মেয়ে তার স্বামী সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হুমকি দিয়ে বলে, যেকোনভাবে হোক সে তার শালিকাকে বিয়ে করবেই এবং অপহরণ করে নিয়ে আসবে। জিজ্ঞাসাবাদের কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বুধবার দিবাগত রাতে শ্বশুরবাড়িতে শালিকার বসতঘরের খোড়ল কেটে প্রবেশ করে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উর্পযুপরি ছুরিকাঘাত করে। ডাকচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ছুরিকাঘাতে আহত তরুণীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শালিকার ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার গণধৌলাইয়ের শিকার হওয়া তাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত তরুণী পূর্বধলা উপজেলাধীন একটি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহজালাল জানান, ঘটনার মূলহোতা দুলাভাই মোঃ সোহেল মিয়াকে হাসপাতাল থেকে শুক্রবার গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ রবিবার এ প্রতিনিধিকে জানান, সোহেল ও তার সহযোগী ৩/৪জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে ২২ ডিসেম্বর/১৬ মামলা নেয়া হয়েছে। মামলা নং ১৭/২৬১। তদন্ত ও অন্যান্য আসামীদের চি‎িহ্নত ও গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।

(এসআইএম/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬)