প্রসঙ্গ 'শ্রাবণ প্রকাশনী'
মাহবুব আরিফ
একটি যুদ্ধ, তারপর একটি দেশ। একটি যুদ্ধের শেষে একটি স্বপ্ন মানুষের আশা আকাঙ্খা যা আজ আমি বলতে বসেছি যা না বললেই নয়, আমাদের স্বপ্ন আমাদের ভরসা আজ খাবলে ধরেছে ক্ষুধার্থ শকুনেরা, আজ তাদের পাশে বসেই আমাকে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করা হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার, যা ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল কারণ, ধর্মের বেড়াজাল থেকে, অপশাসন আর শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেতে ধর্মের ভিত্তিতে গঠন করা রাষ্ট্রের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে জয় বাংলা শ্লোগানে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। খুব গোপনে আজ সেই শত্রুরা ঢুকে পড়েছে সেই মুক্তিযুদ্ধে একক নেতৃত্ব দানকারী বঙ্গবন্ধুর দলে।
সেই ভয়াল থাবা এসে পড়েছে বাংলা একাডেমির উপর , একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন ঠিক এখানেই বাধাগ্রস্ত, মুজিব আদর্শের আওয়ামীলীগাররা কি আজ দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে অভিমানে দল ত্যাগ করবে? বাংলা একাডেমি কি আজ ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করবে নাকি একটি অসাম্প্রদায়িক নীতি নিয়ে মুক্ত ভাবে বাক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাবে? বাংলা একাডেমি কি আজ শুদ্ধ স্বরের টুটুল আর ব-দ্বীপের মানিকের কথা ভুলে গেছে? অন্তত তাদের ইতিহাস মনে রেখে বাংলা একাডেমীকে সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা থেকে সরে আশা উচিৎ - যদি তাই না হয় তবে আমি বলবো, অনুপ্রবেশকারী ও জামায়াত শিবিরের অবস্থান আজ সর্বত্র এমন কি বাংলা একাডেমিতেও।
আমরা এখনো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি, প্রয়োজনে বিকল্প ভাবে ২১শের বইমেলার আয়োজন করা হবে, বাংলা একাডেমী যদি 'শ্রাবণ প্রকাশনী'র উপর দু'বছরের বাংলা একাডেমির নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে না নেয় আমার সমগ্র বাংলাদেশের মুক্ত মনের মানুষরা ২১শে বইমেলাকে প্রত্যাখ্যান করবো। বুক ফাটা আর্তনাদে আপনাদের জোরালো বক্তব্য চাই।
লেখক : সুইডেন প্রবাসী