নিউজ ডেস্ক : বিয়ের আগে সবাই ছেলে-মেয়ের পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকে। কিন্তু খোঁজ খবর নেয়া হয় না খোদ স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপের ব্যাপারে।

প্রধানত ব্লাড গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিৎ?
স্বামীর ব্লাড গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপও পজেটিভ হতে হবে। আর স্বামীর ব্লাড গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনটি হলে অসুবিধা নেই। তবে স্বামীর ব্লাড গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাড গ্রুপও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ আর স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাড গ্রুপ ও পজেটিভ হবে।

যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের মা পজেটিভ Fetus (ভ্রুন) ধারণ করবে, তখন সাধারণত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে। মা যখন দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে। তখন যদি তার fetus এর ব্লাড গ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়।

তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সঙ্গে agglutination হবে। যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ Rh incompatibility বলে।


(ওএস/এটিআর/জুন ১৫, ২০১৪)