নিউজ ডেস্ক : আপনার বাচ্চাটি হয়তো সদ্য স্কুলে যেতে শুরু করেছে কিংবা বয়স পেরিয়ে গেছে ৭/৮ এর কোঠা। এটাই তাঁর সবচাইতে দ্রুত বেড়ে ওঠার বয়স। আর এখন তার চাই বিশেষ পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু মা বাবা অনেক সময় বোঝেন না সন্তানকে কোন পুষ্টিগুণের খাবার বেশি প্রদান করতে হবে বা এই বয়সে কোনটা তাঁর জন্য ভালো। তাই বাড়ন্ত শিশুর প্রয়োজনীয় খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।

শর্করা:
শর্করা জাতীয় খাবার শক্তির সবচাইতে বড় উৎস। তাই শিশুকে বেশি করে শর্করা জাতীয় খাবার দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ডাক্তাররা বলেন, শিশুকে স্টার্চ এবং ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি দিতে হবে এবং চিনিযুক্ত খাবার কম দিতে হবে। রুটি, ভাত, আলুতে প্রচুর শর্করার যোগান দেয়। আপনার শিশুর খাদ্য তালিকায় রুটি, ভাত এবং আলু অবশ্যই রাখুন।

প্রোটিন:
প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবার শিশুর কোষ গঠন করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ ঠিক রাখে। আমিষ খাদ্য গ্রহণের উপর জোর দিন মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদামে প্রচুর আমিষ থাকে। আপনার বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এর এক বা একাধিক অবশ্যই থাকা চাই। তবে শিশুকে বেশি পরিমাণ লাল মাংস খেতে দিবেন না এবং মাংসের চেয়ে দুধ, ডিম বেশি প্রদান করবেন।

ভিটামিন এ:
ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুর চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখার জন্য, তার যথাযথ বৃদ্ধির জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’র কোন বিকল্প নেই। গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পাকা আম, পাকা পেঁপে, আম, তরমুজ, মাছের তেল, মিষ্টি আলুসহ নানা খাবারে ভিটামিন এ থাকে।

ভিটামিন সি:
রক্তনালীর কাজকে ঠিক রাখতে, হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য ভিটামিন সি অনন্য ভূমিকা পালন করে। তাই শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন সি অবশ্যই রাখবেন। পেয়ারা, কমলা লেবু, কামরাঙা, স্ট্রবেরি সহ বিভিন্ন টক জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ক্যালসিয়াম:
শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের কোন বিকল্প নেই। স্নায়ু, হার্ট এবং রক্তের সঠিক চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, টক দই, পালং শাক, বিভিন্ন ফলমূল, বিভিন্ন ধরণের শাক থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

আয়রন:
শিশুকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারও দিতে হবে। বাদাম, মটরশুঁটি, কলিজা, লাল মাংস আয়রনের প্রধান উৎস।

ফ্যাট:
ফ্যাট শিশুর শক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শিশুর খাদ্যতালিকায় ফ্যাটও অবশ্যই থাকতে হবে। শিশুকে ফ্যাট জাতীয় খাবার দিতে হবে, তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। শিশুর ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে তা খারাপ ফল বয়ে আনবে।

আর শিশুকে প্রতিদিন অবশ্যই প্রচুর পানি পান করাতে হবে।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬)