বান্দরবান প্রতিনিধি : বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, ১১০ কিলোমিটার সীমান্ত পুরোপুরি নজরে চলে আসে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অরক্ষিত সীমান্ত গুলোকে সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষার জন্য নতুন আরো বিওপি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা প্রতিহত করার সর্বাত্মক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে সেজন্য সীমান্তে আরো বেশি করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ফাঁক ফোকড়ে যারা ঢুকে পড়েছে তাদের সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর আছে এবং ভবিষতে তাদেরকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বাইতুল ইজ্জত বর্ডার গাড ট্রেনিং সেন্টারে বিজিবি’র ৮৯তম ব্যাচ রিক্রুটদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু: যুবায়ের সালেহীন, রংপুর ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, বোমাং রাজা উ চ প্রুসহ সামরিক-বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের ৮৯তম রিক্রুট ব্যাচে ৫০১ জন পুরুষ এবং ৯৩ নারী নতুন বিজিবি’র সদস্য হিসেবে ৬ মাসের ট্রেনিং-এ অংশ গ্রহন করেন। এতে নব রিক্রুটদের মধ্যে সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ একজন পুরুষ ও একজন নারী বিজিবি সদস্যকে সম্মাননা ক্রেষ্ট দেয়া হয়।

রিক্রুটদের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিকদের মুল পরিচিতি। দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে পিছ-পা হয় না সেই প্রকৃত সৈনিক। এই মনোবল নিয়ে সততা, বুদ্ধিমত্তা, আনুগত্য, শৃঙ্খলা বজায় রেখে সৈনিকদের সীমান্ত প্রহরায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, বিজিবিতে নারী সৈনিকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় ২য় বারের মতো এবারও বিজিবিতে নারী সৈনিক পদে লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বিজিবিকে একটি সু-শৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি মনোবল ঠিক রেখে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

(এএফবি/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬)