আবু নাসের


বেকারত্ব একটা রাষ্ট্রের জন্য বোঝা। বেকার জনসমষ্টি কোন প্রকার কাজ না করেই রাষ্ট্রের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে [যেমন বিত্তবান পিতার বেকার পুত্র]। সরকার দেশের সকল নাগরিকের কাছ থেকে যেমন কর আদায় করে, তেমনি বেকাররাও কর বর্হিভূত নাগরিক নয় [বেকারদের দৈনন্দিন খরচের সাথে সরকারি কর সংযুক্ত]। এক্ষেত্রে তাদের বেকারত্বের সমস্যা দূূর করাও সরকারের দায়িত্ব। 

জনগণের করের টাকা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তি। এই শক্তিকে সঠিকভাবে পরিচালনা না করলেন [লুটে পুটে খেলে] রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

টেন্ডার প্রথা হচ্ছে একটা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলার মূল হাতিয়ার। টেন্ডারবাজরা উন্নয়নমূলক প্রতিটা কাজে ২০% থেকে ৪০% আয় করে থাকে। শুধু তাই নয় সরকারি কাজ পাওয়ার জন্য টেন্ডারবাজরা খুনসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।

নির্বাচনের সময় যে সকল সন্ত্রাসী তাদের সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে একটা দলকে সরকার গঠনে সাহায্য করে থাকে, পরবর্তীতে তারাই সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজের টেন্ডার পায়। কিন্তু সরকারের ভেতরে যদি অন্যান্য বাহিনীর মতো [পুলিশ, আর্মি, নৌ, এবং বিমান বাহিনী] একটি শ্রম বাহিনী থাকে, হতে পারে ওই বাহিনীর ভিন্ন কোনও না, যারা দেশের সকল উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করবে। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সকল বেকারকে ওই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এমনটি হলে রাজস্ব খাতের ২০% থেকে ৪০% ব্যয় হ্রাস পাবে, পাশাপাশি বিলুপ্ত হবে বেকারত্বের অভিশাপ তথা বোঝা।

সরকারের উচিৎ টেন্ডার প্রথা বাতিল করে শ্রমিক বাহিনী কিংবা অন্য কোনও নামে একটা আধা সামরিক বাহিনী গঠন করা। অন্যসব বাহিনীর মতো এরাও সকল প্রকার সরকারি সুবিধা পাবে। এদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণও দিতে হবে। সামরিক প্রশিক্ষণ দিলে দেশের প্রতিরক্ষার জন্য রিজার্ভ বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। দেশের উন্নয়ন মূলক সকল কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে না করে ওই বাহিনীকে দিয়ে করা হবে। এতে টেন্ডারবাজরা যে লভ্যাংশ পায় তা জমা থাকবে রাজস্বখাতে এবং দেশ থেকে নিমিষেই বেকারত্ব দূর হবে।

লেখক : পরিবহন শ্রমিক।