স্টাফ রিপোর্টার : মানুষের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার নিরলস কাজ করছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেছেন, দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা তার সরকারের লক্ষ্য। স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীর কারণে আর্ন্তজাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সরকার এমডিজি-৪ অর্জনে সফলতা দেখিয়েছে।

বুধবার রাজধানীর উত্তরায় আহসানিয়া মিশনের ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে সেই সংবিধান মতেই আমরা এগুচ্ছি, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় আমরা পৌঁছে দিয়েছি। গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

বিত্তশালীদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার দ্বায়িত্বও তাদের।

জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অবদান রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন ৩ হাজার ২শ' মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫শ' ৫৬ মেগাওয়াট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টায় দেশ প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু ১ হাজার চুয়াল্লিশ ডলারে আমরা উন্নীত করেছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম এবং ব্যারিস্টার রফিকুল হক।

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষায়িত এ হাসপাতালের প্রথম তলায় ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয়, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে এ হাসপাতাল। সাধারণ রোগীরা যাতে এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন, সেদিক বিবেচনা করেই চিকিৎসা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিদেশে যে ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রোগীরা পান, ঠিক সে পর্যায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী এটিকে খুব শিগগির ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

ভবিষ্যতে এ হাসপাতালের কার্যক্রম 'না-লাভ না-ক্ষতি'র ভিত্তিতে পরিচালিত হবে এবং এখানে শতকরা ৩০ ভাগ চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে গরিব ও অসহায় রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।


(ওএস/এটি/এপ্রিল ০৯, ২০১৪)