শরীয়তপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে জাজিরা তথা এ অঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে। এখানে ইতোমধ্যে শিল্পপল্লী, অলেম্পিক ভিলেজ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সাহসী নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তারই নিদের্শে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

রবিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচর গোলচত্ত্বরে আয়োজিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জাজিরা এ্যাপ্রোস সড়কের শিবচর-কাঠালবাড়ি অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বড় উন্নয়নের জন্য ছোটখাটো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোনালী ফসল পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করার জন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে যে সকল সুযোগ সুবিধা নেই তার চেয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা এই পদ্মা পাড়ে সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার বিমান বন্দর হবে ডমেস্টিক বিমানবন্দর আর জাজিরা এলাকায় হবে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছি। পদ্মা সেতু এলাকায় কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে আমি ১৬৭ বার এসেছি। কোন সপ্তাহে ৭ দিনও আমি এসেছি।

সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাজিরা তথা পদ্মার দক্ষিণ পাড় হবে বাংলাদেশে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এমপি প্রমুখ।

পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে নাওডোবা থেকে পাঞ্চর মোড় পর্যন্ত জাজিরা ফোরলেন সংযোগ সড়কের ১২ কিলেমিটারের মধ্যে ১১ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। এ সড়কের মাঝখানে রয়েছে ডিভাইডার। ভারত থেকে আনা পাকুর পাথর এ সংযোগ সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। যা দেশের অন্যতম সেরা শক্তিশালী ও টেকসই সড়ক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। আবুল মোমেন ঠিকাদারী কোম্পানির দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টায় মূল পদ্মাতেুর জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে। এ কাজে বাজেট ছিলো ১২০০ কোটি টাকা। এ সংযোগ সড়কে ২০টি কালভার্ট, ৮টি আন্ডারপাস ও ৫টি ব্রিজ রয়েছে।

(কেএনআই/এএস/জানুয়ারি ০৮, ২০১৭)