বাকৃবি প্রতিনিধি : পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, কম উৎপাদন খরচ, সুস্বাদু, লাভবান ও রপ্তানিযোগ্য করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ডেনিস ইন্টান্যাশন্যাল ডেভেলোপমেন্ট এজেন্সির (ড্যানিডা) অর্থায়নে বাংলাদেশে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের আধুনিকায়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে ব্যাংফিস ওর্য়াক প্যাকেজ-৩ কর্মশালা আয়োজন করে।

কর্মশালায় ব্যাংফিস ওর্য়াক প্যাকেজ-৩ এর টিম প্রধান অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী । বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, মাৎস্যবিজ্ঞান ও কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বািবদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ডেনিস ইন্টান্যাশন্যাল ডেভেলোপমেন্ট এজেন্সির (ড্যানিডা) অর্থায়নে বাংলাদেশে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের আধুনিকায়নের জন্য চার বছর মেয়াদী প্রকল্পের অংশ এটি। এর পূর্বে এ বিষয়ে আরো দুটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১২জন শিক্ষার্থীকে স্নাতকত্তোর ও ৬ চার শিক্ষার্থীকে পিএইডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

কর্মশালায় বক্তার বলেন, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার ক্রেতা দেশের সকল মহল যখন প্রথম আমাদের দেশে প্রজাতি দুটি ব্যাপ্তি ঘটে তখন চাহিদা ও মূল্য অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু ক্রমেই তার বাজার আজ বিভিন্ন কারনে ধসের মুখে। পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া চাষে কম শ্রমিক ও কম খরচ প্রয়োজন হয়। অল্প পুজি ও অল্প সময়ে বাজারপুযোগি করা সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশে চার লক্ষ টন পাঙ্গাস ও তিন লক্ষ টন তেলাপিয়া উৎপাদন হচ্ছে। প্রজাতি দুটির সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্বাদু ও পুষ্টিমান ঠিক রেখে তা আমরা বিদেশে রপ্তানী করতে পারি দেশে চাহিদা সৃষ্টি করতে পারি। চিংড়ীর পরেই প্রজাতি দুটির বিদেশে রপ্তানীর জন্য অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পের আওয়তায় বিষয়টি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

(এসএস/এএস/জানুয়ারি ০৯, ২০১৭)