পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :পীরগঞ্জ থানার কথিত সোর্স ও ন্যাশনাল সার্ভিসের সাবেক সদস্য শরিয়ত হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তার বিরুদ্ধে কখনো পুলিশ, কখনো থানার সোর্স পরিচয় দিয়ে দেদারছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত সোমবার রাতে আদিবাসীর বিয়ের মাইক্রোবাস থামিয়ে ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের বড়আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম গ্রামের খাটো রবিনের মেয়ের সাথে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ধানজুড়ি মিশনের এক আদিবাসী ছেলের দ্বিজেন শর্ম (ছদ্মনাম) সোমবার রাতে বিয়ে হয়। বিয়ে শেষে রাত ৯ টার দিকে বর যাত্রীরা কনেকে নিয়ে ২টি মাইক্রোবাস ও বড় বাসযোগে পীরগঞ্জ-খালাশপীর সড়ক দিয়ে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে ফকিরা ফতেপুর নামকস্থানে পুলিশের কথিত সোর্স শরিয়ত হোসেন তার মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে যাত্রীদেরকে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ের অভিযোগ দিয়ে ফেন্সিডিলের একটি বোতল মাইক্রোবাসে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় মহিলা যাত্রীরা বোতলটি ফেলে দিলে শরিয়ত মাইক্রো চালককে মারধর করে।

ঘটনাস্থলে উপজেলার বড়আমপুর ইউপি’র ফতেপুর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি জামিউল হোসেন, উজিরপুরের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম মিয়া, হবিবর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত লোকজন পুলিশের কথিত সোর্স শরিয়তের বাড়াবাড়ির জন্য প্রতিবাদ করে।

এ ব্যাপারে শরিয়ত জানায়, আদিবাসীর মাইক্রেবাসটি আমাকে চাপা দিতে ধরেছিল। তাই আমি মোটর সাইকেলটি দিয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করেছি। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, শরিয়ত পুলিশের ভয় দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে মামনুষকে ফাঁসানোর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আমরা তার বিচার চাই। বিষয়টি আমরা থানার ওসিকে জানাবো।

উল্লেখ্য, শরিয়ত হোসেন ন্যাশনাল সার্ভিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় থানায় সংযুক্ত ছিল। সেই সুবাদে থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় উপজেলায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।












(জিকেবি/এস/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)