শরীয়তপুর প্রতিনিধি :শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বোমা হামলায় হোসেন খা (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে বড়কান্দি ইউনিয়নের মীর আলী মাদবরকান্দি গ্রামে এই হালার ঘটনা ঘটে। নিহত হোসেন খা একই এলাকার আব্দুল আলী বেপারী কান্দি গ্রামের মৃত জলিল খার ছেলে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নতুন কোন সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বড় কান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজ সরদার ও সাবেক চেয়ারম্যান শফিজদ্দিন খলিফার মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সাবেক চেয়ারম্যান শফি খফিলার সমর্থক হোসেন খান বোমা হামলায় মাথার খুলি উড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর মাদরব, ইলিয়াস দড়ি, নুরু মিয়া খা, নুর হোসেন খা, সেকান্দার ছৈয়াল ও রজব আলী মাদবরকে জাজিরা উপজেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর মাদরব, ইলিয়াস দড়ি, নুরু মিয়া খার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার প্রতিপক্ষের শতাধিক বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

নিহত হোসেন খানের মা ইয়ারুন নেছা বলেন, সোমবার রাতে আমার ছেলে ঢাকা থেকে আমার নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি আসে। মঙ্গলবার ভোর বেলা মেম্বার বাবুল বেপারী, সাবেক ম্বেবার দিলু বেপারী ও তার ভাইয়েরা, জালাল বেপারীর ছেলেরা, হযরত আলী বেপারী, আজিজ ফকির ও মোক্তার বেপারী আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মাথায় বোমা মেরে খুন করেছে। আমার ছেলের খুনিদের আমি ফাঁসি চাই।

বড়কান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিজদ্দিন খলিফা বলেন, চেয়ারম্যান সিরাজ সরদারের ভাই তোতা সরদার ও ভাগ্নে মাসুদের নেতৃত্বে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থক হোসেন খানকে বোমা মেরে খুন করে। বোমা হামলায় আমার সমর্থক হোসেন খার মাথার খুলি উড়ে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তল্লাসী করে এরাকা তেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন করে কোন সংঘাত এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।












(কেএনআই/এস/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)