পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :পীরগঞ্জের একটি সড়কে লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ অবৈধভাবে কর্তনের সময় পুলিশ এক ট্রাক গাছ আটক করে থানায় আনলেও মামলা হয়নি। গত বুধবার রাতে উপজেলার বড়আলমপুর-ঢেঁকিরপাড়া সড়ক থেকে ওই গাছ আনা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়আলমপুর-ঢেঁকিরপাড়া সড়কে প্রায় ১২ বছর আগে বড়আলমপুরের সামাদ, সাজুসহ কয়েকজন বড়আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান) সাথে মৌখিত চুক্তি করে উল্লেখিত সড়কে সামাজিক বনায়নের সহস্রাধিক গাছ রোপন করে। গাছগুলো বিক্রয় উপযোগি হওয়ায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা কাঠ ব্যবসায়ী উপজেলা সদরের ওসমানপুরের প্রভাষক রাজু মিয়া ও আলমপুরের মিঠু মিয়ার কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। কয়েকদিন আগে থেকেই ওই গাছ কাটা শুরু হলে এলাকাবাসী পুলিশকে অবগত করলেও তা আটকের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। একপর্যায়ে বুধবার রাত ৭টার দিকে পুলিশ গাছগুলো আটকের পর জব্দ করে ট্রাকযোগে (ঢাকা মেট্রো ট ১১-৯৬৬১) থানায় নিয়ে আসে। এরপর থেকেই ট্রাকসহ গাছ ছাড় করতে দেনদরবার শুরু হয়। ফলে আটকের ২০ ঘন্টা পরও মামলা হয়নি। তবে গাছগুলোর ব্যাপারে সাদামাটা জিডি (৪৯৭, তাং ১১/১/১৭) করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাছগুলোর ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় চুক্তি হয়নি, অথচ বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান অবৈধভাবে গাছ বিক্রির হুকুম দিয়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বড়আলমপুর ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছার রহমান আমাকে বর্তমান সময়ের একটি দেড়শ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প এনে তাতে পেছনের বছর ও তারিখ দিয়ে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করতে বলে। এতে আমি অসম্মতি জ্ঞাপন করেছি। অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, আমি ওই গাছ বিক্রির কোন অনুমতি দেইনি।

ওসি রেজাউল করিম বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় গাছগুলো পেয়ে জব্দ তালিকা করে আমরা ট্রাক ভাড়া করে থানায় এনে জিডি করেছি। কাগজপত্র পাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। এখনো মামলা হয়নি।













(জিকেবি/এস/জানুয়ারি ১২, ২০১৭)