স্টাফ রিপোর্টার : মিরপুর কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগুনে পোড়া ঘরবাড়ি পরিদর্শন ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন ইউএস অ্যাম্বাসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

শুক্রবার শবে বরাতের রাতে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা শনিবার ভোরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আগুনে পুড়ে ১০ জনের মৃত্যু ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুর্মিটোলা ক্যাম্পের আই ওয়ান লাইন ঘরের বেবি আক্তার (৪৫), বেবির পুত্রবধূ জায়েদা, বেবির দুই মেয়ে শাহানা (২৫) ও আফসানা (১৮), শাহানার ছেলে আদিল (১০), ফারজানা (১৫), যমজ দুই ভাই লালু ও ভুলু (৮) ও বেবির ছেলে আশিক (২০)।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ আজাদ (৪৫) নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিকে আগুনে পুড়ে ও গুলিতে শিশুসহ নিহত ১০ জনের লাশ কড়া পুলিশ পাহারায় রবিবার রাত পৌনে ১২টায় বিহারি ক্যাম্প বাইতুর রহমত জামে মসজিদের সামনে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাযা শেষে কালশী কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় লাশগুলো। দু’টি ট্রাকযোগে মৃতদেহগুলো পৌঁছানোর পর বিহারিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে লাশ দাফনের পর বিহারি ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জিয়াউজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এদিকে পুলিশের সর্তকাবস্থার কারণে কালশী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

(ওএস/জেএ/জুন ১৬, ২০১৪)