বান্দরবান প্রতিনিধি : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, অস্ত্র ঠেকিয়ে এ অঞ্চলের মানুষকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। প্রতিটি এলাকার মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও জঙ্গিবাদকে মানুষ ঘৃণা করে। পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী যারা করছেন তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শনিবার দুপুরে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর কোন সরকার পার্বত্য সমস্যা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর পরই বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তার আন্তরিকতায় ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর শান্তি বাহিনীর সাথে সরকার শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ের আনাচে কানাচে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের ফলে মানুষের জীবনমানেরও পরিবর্তন হয়েছে। বেসরকারী সব গুলো স্কুল সরকারীকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইউএনডিপি’র অর্থায়নে এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলের ৮১টি স্কুলও সরকারীকরণ করা হয়েছে।

সেলাই মেশিন বিতরণ উপলক্ষে টংকাবর্তী ইউনিয়নের বাগান পাড়ার বাইট্টাপাড়া স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ চৌধুরী, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, থোয়াই হ্লা মং মারমা, সাবেক সদস্য অং প্রু ম্রো, টংকাবর্তী ইউপি চেয়ারম্যান প্লুকান ম্রো, সুয়ালক ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাংলাই ম্রোসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে চিম্বুক এলাকায় বসবাসরত কয়েকটি পাড়ার ২০জন দুস্থ মহিলাকে ২০টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়।


(এএফবি/এএস/জানুয়ারি ১৪, ২০১৭)