শেরপুর প্রতিনিধি : আল্লাহ তার সৃষ্টিকে ধ্বংস করতে চান না। আল্লাহরই ইচ্ছা ছিল বলেই সেদিন শেখ হাসিনা, রেহানা বেঁচে গেলেন- বিদেশে থাকার কারণে। পঁচাত্তরের পরে দীর্ঘ ছয়টা বছর তিনি বিদেশে নির্বাসনে কাটিয়েছেন। এই দেশে তিনি একুশ বছর পরে আওয়ামী লীগরে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। কী অবস্থা ছিল দেশের। আজকে ঢাকা শহরের অবস্থা দেখেন। যারা তিন বছর আগে ঢাকা থেকে এসেছেন এখন গেলে চিনতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খেয়াল রাখেন।

সোমবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কাপাসিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজ তহবিল থেকে প্রণোদনার অর্থ ও কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াতো সাত জনম জন্ম নিলেও ওই হাতিরঝিল বানাইতে পারতেন না। ওটা ছিল পাবলিক টয়লেট। আজকে শুধু উড়াল সেতু না, উড়াল রাস্তা না উড়াল ট্রেন লাইনও হবে। অনেক কিছুই হবে। ঢাকা শহর ময়মনসিংহ পর্যন্ত চলে আসবে। এখনই ঢাকা আর ময়মনসিংহের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করা যায় না।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীরে যথেষ্ট অর্থ-সম্মান, আমাদের নৌ বাহিনীরে সাব-মেরিন, বিমান বাহিনীরে ফাইটার ইত্যাদি সবকিছুই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খেয়াল রাখেন। আমাদের আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমরা যারা জনসেবা করতে চাই, জনগণের উপকার করতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগাইতে চাই; আমাদের তৃপ্তি আসে না। মনে হয় আরো ভালো করা উচিৎ, আরো কাজ করা উচিৎ, আরও সুন্দরভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা উচিৎ।

এদিন মন্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার দিনব্যাপী ৭টি ইউনিয়নে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেধাভিত্তিক প্রথম ১০জন করে মোট ১ হাজার ৩২৮ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থীর হাতে শীতের কম্বল তুলে দেন। এছাড়াও এসএসসি ও সমমান পর্যায়ের মেধাভিত্তিক প্রথম ১০ জন করে মোট ২২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৫’শ করে আর্থিক প্রণোদনার অর্থ বিতরণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কার্ডধারীদের মাঝে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদান করেন।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে শেরপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)