জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : জকিগঞ্জের কলেজ ছাত্রী ঝুমাকে নৃসংশ হামলাকারী বাহার আহমদসহ অজ্ঞাতনামা ২জনকে আসামী করে সোমবার রাতে মা করিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। (মামলা নং ১২, ধারা ৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬)। জকিগঞ্জ বিয়ানীবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার দুপুরে মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সুরমা ডাইকে ঝুমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায় বখাটে বাহার উদ্দিন। এখনো বাহারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমরোজ তারেক বলেন, পুলিশ বাহারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জকিগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ বলেন, এমন অমানবিক বর্বর ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। বখাটের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার ভুমি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টির সর্বশেষ অবস্থা তিনি লিখিতভাবে সিলেটের জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন।

জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, পুলিশ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এডিশনাল এসপি মোস্তাক আহমদসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন।
দিনমজুর বাবার নিরীহ কলেজ ছাত্রী ঝুমার উপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা ও বাহারের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, পৌর মেয়র হাজী খলিল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, সীমান্তিকের সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান তাপাদার, জকিগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, পূর্ব ইছামতি দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চৌধুরী রিলন, উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি অ্যাডভোকেট কাওছার রশীদ বাহার, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ইছামতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জালাল আহমদ।

(এসপি/এএস/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)