ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার ছবি পোস্টের অভিযোগে গ্রেফতার রসরাজ দাস (৩০) জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

পুলিশের করা আইসিটি আইনের মামলায় প্রায় আড়াই মাস কারাভোগ শেষে রসরাজ মুক্তি পান।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি নাসিরনগরের নিজ বাড়িতে যান।

এ সময় তার মামা ইন্দ্রজিৎ দাস, বড় ভাই দয়াময় দাস ও ভগ্নিপতি নেপাল চন্দ্র দাস সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না হওয়া পর্যন্ত রসরাজের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। তবে জামিন সংশ্লিষ্ট কাজপত্র কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছানোয় সোমবার ছাড়া পাননি তিনি।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালত থেকে জামিন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।

এদিকে রসরাজ এলাকায় ফেরার পর তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।

তিনি জানান, নাসিরনগর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে আমরা তৎপর রয়েছি।

এর আগে গতকাল রসরাজের মামা ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, আমরা গ্রামে ফিরে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলেই রসরাজের বাড়িতে থাকা না থাকার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। তবে রসরাজের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি তখন শঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফকে ব্যঙ্গ করে ছবি পোস্টের অভিযোগে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউছার হোসেন বাদী হয়ে রসরাজকে আসামি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) একটি মামলা করেন। পরদিন ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় রসরাজকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

রসরাজ নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হড়িণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)