আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক উপজাতি নারীকে তাঁর স্বামী, স্বামীর আত্মীয়, গ্রামবাসীসহ ১০ জন মিলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খান্দোয়া জেলার ভিয়ালিখেদা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

ওই নারীর অভিযোগ, মধ্যযুগীয় কায়দায় লোকজনের সামনে তাঁকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। নিজ নাবালক সন্তানের সামনে তাঁকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হয়েছে।

পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটার তিন দিন পর ১৩ জুন ধর্ষণের শিকার ওই নারী খান্দোয়া জেলার পিপলোদ থানায় অভিযোগ করেন। খান্দোয়া জেলার পুলিশের নারী-বিষয়ক সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীতা

রাওয়াত জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের পরই পুলিশ ১০ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে। চিকিত্সার জন্য ওই নারীকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কিন্তু ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী কৈলাস রুমালিয়া দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। স্ত্রীর চরিত্র নিয়েও তাঁর সন্দেহ আছে বলে তিনি জানান।

পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধ আইনের ছয়টি ধারায় মামলা করেছে। নধর্ষণ ভারতের জন্য সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে দুই জ্ঞাতি বোনকে হত্যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

(ওএস/এটিঅার/জুন ১৬, ২০১৪)