আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশটির আফগান সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করেছে।

পাক সরকারের নির্দেশে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘জারাবি আজাব’।

পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তালেবানের রক্তক্ষয়ী হামলার এক সপ্তাহ পরে এ হামলা শুরু হলো। আন্তঃবাহিনী জন সংযোগ বা আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ঘাঁটি বানিয়ে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। এতে পাকিস্তানের জন-জীবনে সব দিক থেকে বিপন্ন হচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অচল হয়ে পড়েছে এবং জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল অসিম বাজওয়া।

উত্তর ওয়াজিরিস্তান থেকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য হাজার হাজার সেনা ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জারাবি আজাব’ সেনা অভিযানে ২৫ থেকে ৩০ হাজার সেনা অংশ গ্রহণ করবে।

আইএসপিআরের মহাপরিচালকের টুইটার বার্তায় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের সন্ত্রাসীদের সম্ভাব্য সব আস্তানা এরই মধ্যে ঘেরা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার জন্য এরই মধ্যে আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সংসদকে এ অভিযানের বিষয়ে আজ(সোমবার) অবহিত করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর প্রতি সংহতি ঘোষণার জন্য তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রাশিদ এরই মধ্যে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাক বিমান বাহিনীর হামলায় অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার পর সেখানে সেনা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়া হলো। বিমান হামলায় নিহতদের অধিকাংশই উজবেক সন্ত্রাসী বলে এর আগের খবরে বলা হয়েছে।


(ওএস/এটিআর/জুন ১৬, ২০১৪)