নিউজ ডেস্ক : হৃদরোগের নানা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিবাহিত নারী-পুরুষেরা অবিবাহিতদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠেন। হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের মতো গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠার ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের ধাক্কা সামাল দেওয়া যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, দাম্পত্যজীবনে নেই এমন নারী-পুরুষদের তুলনায় গুরুতর এই সময়টা দ্রুত এবং ভালোভাবে পার করার ক্ষেত্রে দাম্পত্যজীবনে রয়েছেন এমনদের সম্ভাবনা প্রায় তিন গুণ বেশি।

এ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল বিহেভিয়রে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান রচয়িতা সমাজবিজ্ঞানী এলেন ইডলার বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠার জটিল সময়টায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে দাম্পত্যজীবনে না থাকা নারী-পুরুষেরা নাটকীয়ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন।’

আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটির গবেষক এবং আমেরিকান সোসিওলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের এই সমাজবিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, পুরুষ হোক আর নারীই হোক, দাম্পত্যজীবনে থাকলে সেরে ওঠার, টিকে থাকার সম্ভাবনাটা বেড়ে যায়।’

দাম্পত্যজীবনে থাকা মানুষেরা একা থাকা মানুষদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হয়—এমন ধারণা বহু আগে থেকেই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। উনিশ শতকের ফ্রান্সে এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখির প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু সমাজবিজ্ঞানী এলেন ইডলার চেয়েছেন এ সময়ের বাস্তবতায় একটা গুরুতর স্বাস্থ্য-সমস্যায় এর প্রভাব খুঁজে বের করতে।

হৃৎপিণ্ডে বাইপাস সার্জারি হয়েছে এমন ৫০০ নারী-পুরুষের সাক্ষাত্কারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে নেওয়া জাতীয় মৃত্যুহার-বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।

সমাজবিজ্ঞানী ইডলার বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা আর যন্ত্রণা সামাল দিতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দাম্পত্যজীবনে থাকা নারী-পুরুষেরা অনেক বেশি ইতিবাচক থাকেন এবং হ্যাঁ-সূচক উত্তর দেন।’

(ওএস/এএস/জুন ১৭, ২০১৪)