ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জেরে এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদকে মারধরের ঘটনায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, মারধরের ঘটনায় এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামকে এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এনিয়ে দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল একই ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজনের। ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদ।

এ নিয়ে বুধবার রাতে বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেলে সিনিয়র ছাত্র শহীদের সঙ্গে এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্রদের বাকবিতাণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজন শহীদকে মারধর করে।

পরে শহীদসহ এম-৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ করে। এরপর বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হলে রাতেই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সাইফুল বারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এ ব্যাপারে একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন জানান, দুইটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক পাঠান জানান, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা কলেজের ৫ম বর্ষের ছাত্র শহীদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উত্তেজনা এড়াতে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৩, ২০১৭)