রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একটি সংঘবন্ধ চোরের দল গত ১ সপ্তাহে ৩০টি বাড়ীতে চুরি করে চম্পট দিয়েছে। চোরের ভয়ে রাত জেগে বাড়ী পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী। শুধু রাত নয় দিনেও বসে নেই চোরেরা। আগে রাতে চুরি সংঘটিত হলেও এখন দিন-রাত একাকার করে চুরি সংঘঠিত হচ্ছে। ফলে চুরি আতঙ্কে ভুগছে ব্যবসায়ী সহ  সাধারণ জনগণ।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, গত ১সপ্তাহে রাজারহাট বাজার ও আশপাশ এলাকায় ৩০টিরও বেশি চুরি সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। রাজারহাট বাজারের সার ও কীটনাশক দোকোনের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ১ লাখ ২৫হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। একই বাজারের ভাংরির দোকানের ক্যাশ বক্সের তালা ভেঙ্গে ১৮ হাজার টাকা, মঙ্গলবার রাতে রাজারহাট ব্যাপারীপাড়া শাহি জামে মসজিদের ভিতরে থাকা দান বক্স ও বাইরের সিমেন্টের দান বক্সের তালা ভেঙ্গে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা, রাজারহাট বাজারের আল্লাহর দান ইলেকট্রনিক্স দোকানের টিন কেটে চোরেরা দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ১লাখ ৯০ হাজার টাকা চুরি করে চম্পট দিয়েছে।

এছাড়া গত কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার সাকোয়া গ্রামের আদম আলী,মিলন মিয়া ও পাশের একটি বাড়ির ৩টি গরু, সোলাগাড়ী গ্রাম থেকে অভিনব কৌশলে ফকরুল ইসলামের ১টি ডিসকভার মোটর সাইকেল ও নগদ ৯০ হাজার টাকা, রাজারহাট সোনালী ব্যাংক কর্মচারী আব্দুল জলিলের ১টি এবং অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী মোহসিন আলীর ১টি মোটর সাইকেল চুরি হয়। চুরি যাওয়া মালামাল পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। হাটবাজার গুলো থেকে বাইসাইকেল চুরির ঘটনা নিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার। প্রতিরাতে কোথাও না কোথাও ঘটছে ছাগল ,হাস-মুরগি সহ ছিচকে চুরির ঘটনা। ফলে চুরি ভয়ে রাত জেগে বাড়ী পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান,প্রতিটি এলাকায় গ্রাম পুলিশ রয়েছে। তারা সঠিকভাবে তদারকি করলে এসব চুরির হাত থেকে এলাকাবাসীরা রেহাই পেত।

এবিষয়ে ২৭জানুয়ারী রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, চুরির ঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেনি,তবে ৪/৫ দিন পূর্বে উপজেলার ছিনাই থেকে এলাকাবাসী চোর সন্দেহে ২ব্যাক্তি কে আটক করে থানায় সোপর্দ করলে তাদেরকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করেছি।













(পিএমএস/এস/জানুয়ারি ২৭, ২০১৭)