বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের বনদস্যু জাহাংগীর বাহিনীর প্রধান মো. জাহাংগীর শিকারীসহ ওই বাহিনীর ২০ সদস্যকে দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার বিকালে বাগেরহাটের শরনখোলা থানা পুলিশ এসব বনদস্যুদের কড়া প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুস সবুর মিনা তাদের কারাগারে পাঠাবার আদেশ দেন। এর আগে রবিবার দুপুরে র‌্যাব - ৮ এর ডিএডি মো. দোলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় প্রত্যেকের নামে দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে মামালা দায়ের করেন। ৩১ টি আগ্নেয়ান্ত্র ও এক হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি শরনখোলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

রবিবার সাড়ে ১২ টায় বরিশাল র‌্যাব- ৮ এর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে সুন্দরবনের অন্যতম বড় বনদস্যু জাহাংগীর বাহিনীর ২০ সদস্য আত্মসর্মপন করে।

বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো বনদস্যুদের মধ্যে রয়েছে, জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান মো. জাহাঙ্গীর শিকারী (৩৮), মো. শেখ ফরিদ (৩৮), মো. মারুফ শেখ (৪১), মো. আকরাম শেখ (৩৫), মো. মোস্তাহার শেখ (৫০), মো. এরশাদ খান (৩৫), মো. গাজী তরিকুল ইসলাম (৩৫), মো. কামারুল শেখ (২২), মো. কামরুল হাসান (৩৮), মো. হায়দার শেখ (২৯), মো. হারুন শেখ (৫৫), মো. আইয়ুব আলী শেখ (৫২), মো. মাফিকুল গাজী (৩৮), মো. কবির গাজী (৩২), মো. পলাশ হোসেন (৩৫), মো. বাছের শিকদার (১৭), মো. আ. হান্নান সরদার (২৩), মো. ইজাজ মোল্লা (৪১), মো. মহাসিন মোড়ল (৩৯) এবং মো. ইয়াকুব সরদার (২৯)। এনিয়ে গত ৯ মাসের মধ্যে সুন্দরবনের ৯টি বনদস্যু বাহিনীর ৯২ জন সদস্য ১৯৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০ হাজার ১৪৩টি গুলি র‌্যাবের কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করল।

গত ২৮ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীর কাটেশ্বর খালের গহীন জংগলে অবস্তানকালে বনদস্যু জাহাংগীর বাহিনী র‌্যাবের-৮ এর কাছে আত্মসর্মপনের জন্য এগিয়ে আসে। এ সময়ে বাহিনী প্রধান মো. জাহাংগীর শিকারীসহ ২০ জন বনদস্যু র‌্যাবের কাছে ধরা দেয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তী মতে বনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বনদস্যুদলের ব্যবহৃত ৩১ টি দেশি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধার করে ।

(একে/এএস/জানুয়ারি ৩০, ২০১৭)