নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী হাবিবুল আলম বীরপ্রতিক মহাবিদ্যালয় জাতীয়করনের দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রৗ ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বেলা ১১ টার দিকে পিরোলী হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক মহাবিদ্যালয়ের সামনের সড়কে শিক্ষক, অভিভাবকসহ কয়েকশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি নজরুল ইসলাম, কলেজের অধ্যক্ষ আবু রেজা মোল্লা, প্রভাষক মতিয়ার রহমান, মোঃ সামছুর রহমান, সহকারী গ্রন্থাগারিক মোঃ মাসুমার রহমান সহ অনেকে। বক্তারা বলেন যে, নড়াইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কলেজটি এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রাখায় এবং মহান এই বীর প্রতীকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সরকার জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরবর্তিতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যার কারণে কলেজের শিক্ষক, অভিভাবকসহ কয়েকশত শিক্ষার্থীর মাঝ হতাশা নেমে আসে। অবিলম্বে কলেজটি জাতীয়করনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন শেষে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা জেলা শহরে এসে নড়াইল জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রৗ ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক মহাবিদ্যালয়টি ১৯৯৯ইং সালে স্থাপিত হয় এবং ২০০২ইং সালে এমপিওভুক্ত হয়। মহাবিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় এলাকার কৃষিনির্ভর দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দ্বার উন্মোচিত হয়। বিশেষ করে, নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় নারী শিক্ষার সম্প্রসারণে অগ্রণীভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় নড়াইল জেলা পর্যায়ে ৫বার ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় প্রতিবারই প্রথমস্থান অর্জন করে আসছে।
২০১৬ সালেও এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৯০ভাগ শিক্ষার্থী পাশ করে জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয়স্থান ও কালিয়া উপজেলা পর্যায়ে প্রথমস্থান অর্জন করেছে।

মহাবিদ্যালয়টিতে নড়াইলের কালিয়া, যশোরের অভয়নগর, খুলনার দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলার ৩০টি গ্রামের কৃষিনির্ভর দরিদ্র পরিবারের সন্তান লেখাপড়া করে। বর্তমানে মহাবিদ্যালয়টিতে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

মহাবিদ্যালয়টি জাতীয়করণের লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মহাবিদ্যালয়টি পরিদর্শন না করে মৌখিকভাবে স্থগিত করা হয়।

(টিএআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭)