নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। সোমবার  নড়াইল-কালনা-যশোর সড়কের চৌগাছা ইটভাটার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক বিদ্যুতিক খুঁটি ও অন্যান্য সরঞ্জাম বোঝাই করে নড়াইলের লোহাগড়া আসছিল। পথিমধ্যে চৌগাছা ইটভাটার কাছে পৌঁছালে ট্রাকটি টিন বোঝাই একটি নসিমনকে চাপা দেয়। এতে নছিমনচালক হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। ট্রাকটিও রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং নছিমনটি দুমড়ে-মুচকে যায়।

নিহত হাবিবুর রহমান লোহাগড়া উপজেলার মাটিডাঙ্গা গ্রামের মান্নান খানের ছেলে। নসিমনটি নড়াইল শহর থেকে টিন নিয়ে মহাজন বাজারের শংকর সাহার দোকানে যাচ্ছিল। পুলিশ ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

এদিকে একই স্থানে (চৌগাছা ইটভাটার সামনে) সোমবার সকাল ১০টার দিকে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাইসাইকেল আরোহী আলমগীর মোল্যা (৪০) নিহত হয়েছেন। নিহত আলমগীর সদর উপজেলার চন্ডিরপুর ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুলদাইড় গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সাবু (৪৫) সোমবার সকালে তার ছেলেকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য লোহাগড়ায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চৌগাছা ইটভাটার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে উভয়ই সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে।

স্থানীয়রা তাদেরকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হলে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে আলমগীর মোল্যার মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল চালক সাবু নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) আছেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস বলেন, দুর্ঘটনার পর বিকেলে নড়াইল- কালনা-যশোর সড়কে আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

(ওএস/এস/জুন ১৬, ২০১৪)