রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা ইতোমধ্যে শষ্য ভান্ডারের গৌরব অর্জন করেছে। মাঠে মাঠে আলু, সরিষা, গমসহ নানা ফসলে সবুজ আকার ধারণ করে আছে পুরো উপজেলা জুড়ে।

আমন ধান কাটার পর পরই এসব কাঠ ফসল লাগানো হয় ক্ষেতে। আগাম জাতের আলু ক্ষেত থেকে উঠানোর পর। বোরো ধান লাগানোর কাজে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছে। চলছে এখন ভরা মৌসুম। হাড় কাঁপানি শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে ভোর রাতে কৃষক ছুটে আসছে ক্ষেত বাড়িতে। উপযুক্ত সময়ে চারা লাগাতে পারলে ফসল ভাল হবে, ফলন হবে বাম্পার এমনই আশা চাষীদের মনে। ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের এখন মহোৎসব চলছে।

কৃষি অফিস তথ্যমতে, উপজেলায় ৮,৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শক্রমে অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার নিশ্চিত, সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় বেশ সুবিধা বোধ করছে ধান চাষীরা। অন্যদিকে বিদ্যূৎ নিয়ে একটু চিন্তিত কৃষকরা বিদ্যুতের কোন লোডসেডিং চাই না ধানে পানি সেচের সময়।

এ নিয়ে রাণীশংকৈল সাব জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম এহতেসামুল হকের সাথে তিনি জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সেচ কার্যক্রম যথাযথ রাখতে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি। বিশেষ করে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। এ সময়ে কোন লোড সেডিং রাখা হবে না। হোসেনগাও গ্রামের কৃষক শহিদ বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় বীজতলা তেমন নষ্ট হয়নি। কাজেই চারার জন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শ্রমিককে মজুরী বেশী দিতে হচ্ছে। আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, দেশের মেরুদন্ড কৃষক। কৃষি সম্পৃদ্ধ বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করতে সরকার’র নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রতিটি মাঠ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কৃষককে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভাল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

(কেএএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭)