লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে তদন্ত কার্যক্রমে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া বাজারের তাসমিয়া টেলিকমের মালিক তারিফুজ্জামান ও তার ভাই আরিফুজ্জামান ক্রয়সূত্রে ১৯৮৯ সাল থেকে ৮৯ নং লোহাগড়া মৌজার ৩৭৯৮ নং দাগে ১ শতক জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। ২০১৪ সালে উপজেলা ভূমি অফিসে ঐ জমির নামজারি মামলা করেছেন। কিন্তু ঐ জমির কথিত দাবিদার লোহাগড়া পোদ্দার পাড়ার মৃত কামরুল ইসলামের ছেলে আহসানুল হোসেন কবির গত ২০১৬ সালের ৭ আগষ্ট নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই দুই ভাইকে আসামী করে হয়রানি করার উদ্দেশে মামলা দায়ের করেন । যার নং- এমপি ১২১/২০১৬ । বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলার তদন্ত ভার লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। লোহাগড়া থানার ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য এ এস আই আঃ হাকিমের ওপর ন্যাস্ত করেন। এ এস আই আঃ হাকিম ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর মামলার মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার আসামী তারিফুজ্জামান তদন্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে আদালতে নারাজি আবেদন করেন। এরপর আদালত লোহাগড়া উপজেলা ভূমি অফিসকে ওই জমি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। উপজেলা ভূমি অফিস লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কমকর্তা আব্দুস সালাম মোল্যাকে উক্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন। কিন্তু লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মোল্যা ঘটনাস্থলে না যেয়ে বাদীর সাথে যোগসাজস করে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এর নাম ব্যবহার করে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বুধবার লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,দায়িত্বপ্রাপ্ত ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম জমির বিষয়ে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন নাই।

তারা আরো জানায়, জমির কথিত মালিক আহসানুল হোসেন কবিরের দাবিকৃত জমিতে দখল স্বত্ব ছিল না। আহসানুল হোসেন কবির প্রভাবশালী ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। মামলার আসামী পক্ষদ্বয় উক্ত জমিতে ১৯৮৯ সাল হতে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। মামলার বাদী আহসানুল হোসেন কবির তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কমকর্তা আব্দুস সালাম মোল্যার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত করেই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

(আরএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)