নিউজ ডেস্ক : খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে পারবে না বলে বিএনপির হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবেই।

মিউনিখে শুক্রবার জার্মান আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় তিনি বলেন, যদি কোর্টের কাছে এভিডেন্স থাকে চুরি করেছে তাহলে শাস্তি হবে। সেজন্য তারা ইলেকশনই হতে দেবে না। একটা চোর এতিমের টাকা যে চুরি করে খায় তাকে রক্ষার জন্য ইলেকশন হতে দেবে না। কতো আবদারের কথা, কতো আহ্লাদের কথা। গরিব মানুষের টাকা কয়টা দিয়ে দিলেই হত।

২০০১-২০০৬ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলা এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলা দুটি চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার কিংবা জেলে পাঠানোর কোনো ভাবনা সরকারের নেই। আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে কারাগারে যাবে কি না, সে মাফ পাবে কি না সেটা আদালত বলতে পারবে। সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।

এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের চেয়ারপারসনকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচন করার অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।

বিএনপি নেত্রী ‘পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান যে সুরে কথা বলে, খালেদা জিয়াও সে সুরে কথা বলে। খালেদা জিয়ার মুখেও একই কথা শুনি। ৩০ লাখ মানুষ নাকি মারা যায়নি। সেটা নিয়েও সে সন্দেহ প্রকাশ করে। পাকিস্তানিরা যে সুরে কথা বলেন, উনি সেই সুরে সুর দেন কেনো?

নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য আমাদের তালিকা থেকে একজন নিয়েছে। বিএনপি তালিকা দিয়েছে, সেখান থেকে একজন নিয়েছে। তাতেও দোষ। সব কিছুতেই দোষ। তাদের সব কিছুতেই নাখোশ।তাদের সব কিছুতেই মানি না, মানব না।

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ থেকে এখন কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।এর বিরুদ্ধে আমরা যা করার করব।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। এতে বক্তব্য রাখেন- ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনীল দাসগুপ্ত ও এমএ গনি চৌধুরী, জার্মান আওয়ামী লীগ সভাপতি বশিরুল হক সাবুসহ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭)