শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের শ্রীবরদীতে ইজিবাইকের চালকদের মধ্যে পূর্বশক্রতার জের ধরে নয়াপাড়া ও আটাকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ইউপি কমিশনারসহ উভয় গ্রামের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৬ জুন সোমবার রাতে ও ১৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে দু’দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে শ্রীবরদীতে ইজিবাইক চালনা বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী পৌরশহরের উত্তর বাজার ইজিবাইক স্ট্যান্ডে কয়েকদিন যাবত চালকদের মধ্যে যাত্রী নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের উত্তর বাজারে নয়াপাড়া ও আটাকান্দা গ্রামের ইজিবাইক চালক ও তাদের সমর্থকরা লাঠিসোঠা নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। মঙ্গলবার দুপুরের উভয় পক্ষে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে শ্রীবরদী পৌরসভার কাউন্সিলর শাহআলম, আটাকান্দা মহল্লার বাসিন্দা শফিকুল, ইজিবাইক চালক শাহ আলী, নয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়া, রাসেল, হাছেন আলী, ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম সহ ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, বিবদমান ইজিবাইক চালকদের একপক্ষে শ্রীবরদী পৌরসভার কাউন্সিলর শাহ আলম মিয়া ও অপরপক্ষে ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এ ঘটনার পর থেকে শ্রীবরদীতে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শ্রীবরদী থানার ওসি বেলায়েত হোসেন তরফদার ইজিবাইক চালানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কোন পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।
(এইচবি/এএস/জুন ১৭, ২০১৪)