লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া-তালবাড়িয়া সড়কের ৫ কিলোমিটার রাস্তা এখন সাধারণ মনুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, দিঘলিয়া থেকে তালবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও মালবাহী ট্রাক সহ নানা যানবাহন চলাচল করছে। সবচেয় বেশি সমস্যা হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শিশু ও রোগীদের । বর্ষা মৌসুমে সড়কের পাথর ও খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আগে দিঘলিয়া বাজার থেকে তালবাড়িয়া কোন যানবাহনে যেতে সময় লাগত ১০/১৫ মিনিট আর এখন সেখানে লাগে প্রায় এক ঘন্টা। সড়কটিতে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়শই ট্রাক, প্রাইভেট কার,এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন খাদে আটকে যাচ্ছে। ফলে রোগীসহ সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে। গত দুই বছরে সড়কটির অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়েছে।

বাটিকাবাড়ী গ্রামের ইউপি মেম্বর ফরিদুজজামান ভুল জানান, এ সড়কের খানাখন্দে যানবাহন পড়ে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। ওই রাস্তার পাশদিয়ে রয়েছে নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজ, দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নোয়াগ্রাম সরকারি মাধ্যমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সপ্তপল্লী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসা। ওই সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে ভাঙ্গাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ওই রাস্তার পার্শ্বে নোয়াগ্রামে গড়ে উঠেছে সোহেলী অটো রাইস মিল।

প্রতিদিন রাইস মিলে উৎপাদিত কোটি টাকার পণ্য ট্রাকে বহন করা হচ্ছে । এলাকার আর্থিক উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও রাস্তা নষ্ট হওয়ায় পণ্য পরিবহনে পিছিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সোহেলী অটো রাইস মিলের মালিক খান মিরাজ হোসেন বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে অটো রাইস মিল কারখানা করেছি। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় মালামাল আনানেয়া বড় সমস্যা হচ্ছে। প্রায়শই ট্রাকের পাতি ভাঙছে। টায়ার নষ্ট হচ্ছে। ধান-চাল ভর্তি ট্রাক খানাখন্দে উল্টে পড়ছে। নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোল্যা মোশাররফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এলজিইডি লোহাগড়ার প্রকৌশলী মোঃ ওসমান গণি এ বিষয়ে বলেন, আগামী অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কারের চেষ্টা করবো।

(আরএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)