মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ প্রতিদিন বাজারের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাস্তায় ধারাবাহিক মোটরযান আটক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব অভিযানে গত এক মাসে পুলিশ মোটরযান আইনে ৪৩টি মামলা দিয়েছে। প্রতিদিনের আটক বাণিজ্যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে মোটরযান চালকরা অভিযোগ তুলেছেন। তবে পুলিশ দাবি করছে প্রতিদিন গড়ে ৮/১০টি মামলা না দিলে চাকুরী থাকবে না। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কে রেলগেট এলাকায় পুলিশের মোটরযান আটকের সময় রেলপথ জুড়ে যানবাহনের যানজট সৃষ্টি হয়। মোটরসাইকেল, যাত্রীবাহী গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা থেকে শুরু করে সকল যানবাহনে আটক বাণিজ্য চালিয়ে যচ্ছে। দু’জন যানবাহন চালক জানান, প্রতিদিন শমশেরনগরের বিভিন্ন সড়কে কাগজপত্র দেখার নামে আটক বাণিজ্যে একই চালকরা বার বার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া দেড় থেকে দু’শ গাড়ি আটক করলেও দু’চারটি মামলা দিয়ে আর বাকিগুলো টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তারা আরও বলেন, দু’দিন আগেই এখানে মোটরযান আটক অভিযান করা হয়।

তাছাড়া শমশেরনগর ফাঁড়ি পুলিশ সোমবার মৌলভীবাজার সড়কের রামপুরে, রবিবার সন্ধ্যার পর চাতলাপুর রোডে ও চৌমুহনায় আটক অভিযান চালায়। এভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটক বাণিজ্যের নামে চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার বন্ধের দিন রেলগেট এলাকায় মোটরযান আটক বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি মামলা না দিলে আমাদের চাকুরী থাকবে না।

তবে এই হিসাবে গত এক মাসে তিনশত মামলা হওয়ার কথা থাকলেও গত এক মাসে মাত্র ৪৩টি মামলা হয়েছে। এক মাসে ৪৩টি মামলার সত্যতা স্বীকার করে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) সৈয়দ নাসিরুদ্দীন বলেন, উপরের নির্দেশনা থাকার কারনে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)