বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে খামারের সাড়ে তিন’শ হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কুমারখালী গ্রামের বৃদ্ধ হারুন হাওলাদারের খামারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে এই ডিমপাড়া হাঁসগুলো মারা যায়। হাঁসের প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। হাঁস খামারি বৃদ্ধ হারুন হাওলাদার বিচারের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মৃত হাঁসগুলো নসিমনে নিয়ে বাগেরহাট শহরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে ছুটে এসে এমন নিষ্ঠুরতার বিচার দাবি করেন।

খামারী হারুন হাওলাদার জানান, এনজিও গ্রামীন ব্যাংক থেকে ২০ হাজার ও মহাজনি সুদে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গত দুই বছর আগে তিনি কুমারখালী গ্রামে ওই হাসেঁর খামারটি গড়ে তোলেন। হাঁসের বাচ্চাগুলো খামারে বড় হবার পর ৪’শ হাঁস কয়েক মাস আগে ডিম পাড়া শুরু করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খামার থেকে হাঁসগুলো নিয়ে সেডে রাখা হয়। কিছুক্ষনের মধ্যে হাঁসগুলো ছটফট করতে শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যেই তিন শতাধিক হাঁস মারা যায়। দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে খামারের সেডের ভেতরে বিষ মাখানো ধান ছিটিয়ে রাখে। হাঁসগুলো খামারে সেডে ঢোকার পর ঐ ধানগুলো খেয়েই মারা যায়। সকাল পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে খামারের সাড়ে তিন’শ হাঁসের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার সাথে করো বিরোধ নেই। হাঁসগুলো মারা যাওযায় লক্ষাধিক টাকা দেনাগ্রস্ত হয়ে এখন নিস্ব হয়ে পড়েছি। কে বা কারা এমনটি করেছে তিনি তা বলতে পারছেন না। সরকারের সহয়তার পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার চন্দ্র বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। মোড়েলগঞ্জ থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭)