নায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : কবি ওয়াহিদ রেজা আর নেই। আজ রোববার সকাল আটটা সাতাশ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রথাবিরোধী এই লেখক।

আজ বাদ আছর নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়া বড় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল পাচটায় তার মরদেহ নগরীর চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন তিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুইদিন আগে ব্রেইন ষ্ট্রোক করলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

২৫ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে নগরীর আমলাপাড়ার মোল্লা বাড়িতে তার জন্ম। তার বাবা ডাঃ শাহাদাৎ হোসেনআওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ওয়াহিদ রেজা মৃত্তিকা ও অর্ণব নামের দুই ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি হালিম আজাদ জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হওয়া উনচল্লিশ বছরের ছোট কাগজ ‘ড্যাফোডিল’ ১৯৮৮ সাল থেকে সম্পাদনা করেছেন ওয়াহিদ রেজা। আগের দশ বছর এটির সম্পাদক ছিলেন কবি হালিম আজাদ।

১৯৮৪ সালে ওয়াহিদ রেজার প্রথম গল্প গ্রন্থ’ ‘আসলে আমি-ই নায়ক’ বের হয়। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘কবি জন কিটস ও তার প্রেম’, ‘মহাকালের ইঙ্গিত,’ ‘ইতিহাসের আলোকে ধর্মপূজা, যৌন পূজা’, ‘আমি বাঁচতে চাই প্রধানমন্ত্রী’, ‘হাওয়ার ফ্রীডম’, ‘এখন পরপুরুষ’, ‘ধর্ম বিশ্বাসের প্রেম ইত্যাদি । অনুদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, মিলান কুন্দেরার ‘এবং ইশ্বর ও সোনার আপেল’, আলবারতো মোরাভিয়ার ‘দ্বিচারিনি’, ভলতেয়ার এর ‘ক্যান্ডিড’।

বিজ্ঞানমনস্ক এই লেখক ভারতের বিশিষ্ট যুক্তিবাদী লেখক প্রবীর ঘোষের সাথে যৌথভাবে বেশ ক’টি বই প্রকাশ করেন। এগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে, ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদিদের চোখে ধর্ম।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)