‘বরাদ্দকৃত অর্থে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়’
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে পৃথক পৃথক বরাদ্দ প্রয়োজন ।
রাজধানীতে মঙ্গলবার পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্স (আইএনএম) ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিউপি) এর যৌথ ভাবে আয়োজিত ‘শিক্ষা বাজেট-২০১৪: জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, শুধু বর্তমান বাজেটে অথবা এক বাজেটে সব অর্জনের প্রত্যাশা বাস্তব সম্মত নয়। ধাপে ধাপে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং সরকারের দিক থেকে বরাদ্দ বৃদ্ধির অপরিহার্যতা উপলব্ধিতে আসা দরকার।
অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, বাজেটের কতগুলো বিষয় থাকে। এর মধ্যে নীতি কাঠামো, বরাদ্দ ও বরাদ্দের ব্যবহার অন্যতম। বর্তমানে শিক্ষার মান যে দুর্বল এটা পরিষ্কার। শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু তাদের দক্ষতা বাড়ছে না।
আমরা বাজেটে শিক্ষাখাতে শতকরা ২০ ভাগ বরাদ্দের দাবি করেছিলাম। আমরা জানি, একবারে এটা করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে করতে হবে। কিন্তু এবারও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ শতকরা ১৩ ভাগেরও কম। এ দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন সম্ভব নয়।
সভায় উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তরা শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইএনএম’র নির্বাহী পরিচালক ড. এম এ বাকী খলিল, বিউপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির প্রমুখ।
(ওএস/এস/জুন ১৭, ২০১৪)