স্টাফ রিপোর্টার : তিন দিনের মধ‌্যে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবোয়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টোরায়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধের উৎপাদন ও বিপিণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেয়।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা তা জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরায়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।”

ঔষধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, কারখানার অবস্থান, পদ্ধতি, মোড়কজাতকরণসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে ‘গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ বা জিএমপি নীতিমালায়।

মনজিল মোরসেদ বলেন, “এ নীতিমালা আমাদের দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা স্বীকৃত। ফলে জিএমপি লঙ্ঘন করে ঔষধ উৎপাদন সম্ভব নয়।”

রিট আবেদনে ১৯৮২ সালের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ থেকে উদ্বৃত করা হয়েছে। এর ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি অনুযায়ী ঔষধ উৎপাদন করবে।

আবার ১৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ঔষধ কোম্পানি জিএমপি অনুসরণ না করে, সেই কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল অথবা স্থগিত করা যেতে পারে।

অধ্যাদেশের ১৭ ধারায় নিম্নমানের ঔষধ প্রস্তুত, মজুদ, অথবা বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানাসহ শাস্তি অথবা উভয় দণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।

মনজিল মোরসেদ বলেন, “মাননীয় স্পিকারের অনুমতিক্রমে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে এসব কোম্পানির উৎপাদিত অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরায়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধ উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করে। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনস্বর্থে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)