স্টাফ রিপোর্টার : বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করলো বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে  সাতটার দিকে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির পক্ষে চেয়ারম্যান লিও জি মিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়েদ কাদের, পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই সময় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ২০১৮ সালের মধ্যেই এই সেতুতে গাড়ি চলাচল করবে।

উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ সপ্তাহে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য দেওয়া চায়না মেজর ব্রিজের প্রস্তাব অনুমোদন করে। গত ২ জুন প্রধানমন্ত্রী তা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণ হলে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে।

জানা গেছে, ১৫ হাজার কোটি টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাক্কলন করা হয়। চায়না মেজর ব্রিজ তার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কমে ১২হাজার ১৩৩ কোটি টাকায় এ সেতু নির্মাণ করবে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুসারে, চলতি মাসেই কোম্পানিটির পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করার কথা। অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি মাসে এটি সম্ভব হবে না। নির্মাণ কাজ শুরুর বিষয়টি পিছিয়ে জুলাইয়ে চলে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান তাতে সাড়া দেয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে-ডেইলিম-এল অ্যান্ড টি জেভি, স্যামসাং সি অ্যান্ড টি করপোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিনটি মূল পদ্মা সেতু নির্মাণের কারিগরি প্রস্তাব জমা দেয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি প্রস্তাবই যোগ্য বিবেচিত হয়। এর পর প্রতিষ্ঠান তিনটির কাছ থেকে আর্থিক প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুরোধে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয় আর্থিক প্রস্তাব জমা দেওয়ার। সর্বশেষ বর্ধিত সময়ের মধ্যে (২৪ এপ্রিল) একমাত্র কোম্পানি হিসেবে চায়না মেজর ব্রিজ আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়।

(ওএস/এস/জুন ১৭, ২০১৪)