ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বাঙ্গালি জাতির চেতনা, বাঙ্গালীত্ব এখন শুধু দিবস কেন্দ্রিকlদিন ফুরোলেই যেন সব শেষl ২১'শে ফেব্রুয়ারি, ৭'ই মার্চ, ২৬'শে মার্চ, ১৬'ই ডিসেম্বর যেন উৎসবের দিনl আর দিন শেষ হলেই যেন সব শেষl ২১'শে ফেব্রুয়ারি পালন করতে উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে,ভীড় কমতেই দেখা গেছে শহীদ মিনারে জুতা পড়ে উঠতেl শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে পতাকা তার একটি অংশ লাল সূর্যl এই লাল সূর্যই জানান দেয় শহীদদের অস্তিত্বl ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জিলা স্কুল বড় মাঠেl মাস শেষ হতে না হতেই পেছন থেকে নেমে গেল সেই সূর্যl

ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাল সূর্যও খুলে ফেলা হয়েছে। আর এতে করে শহীদ মিনারের বিকৃতি ঘটেছে বলে সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সারা বছরই অরক্ষিত থাকে।

মানবাধিকার কর্মী সুরচিতা দেব জানান, আমরা ভাষার মাসেই শহীদ মিনার ধোয়ামোছা ও রক্ষণা-বেক্ষণের কাজ করি। বাকি সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকেl শুধু দু’দিনের জন্য শহীদ মিনারের পেছনে লাল সূর্যটা দেখতে পাই। ফেব্রুয়ারি চলে গেলেই আবার খুলে ফেলা হয় সেই লাল সূর্য।

আমরা ভাষা আন্দোলনকে এক মাসের জন্য মনে রাখতে চাই না। সারা বছর ভাষার চেতনাকে লালন করতে চাইl

ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকবর হোসেন বলেন, সকালেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা, বিকেলেই অবমাননা করা হয়েছে এবার। এটা একটি বড় অপরাধ। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে স্মৃতিসৌধের উপর জুতা পরে উঠলে যেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শহীদ মিনারে লাল সূর্য না থাকলে ভাষা আন্দোলনের চেতনাই থাকবে না। সব সময় থাকবে শহীদদের বুকে লাল সূর্য এটাই প্রত্যাশা করি।

ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রক্ষনাবেক্ষন কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুর হোসেন খোকন জানান, আমাদের শহীদ মিনারের পেছনের সূর্যটা লাল কাপড় দিয়ে তৈরি। সারা বছর যেন কাপড়টি ময়লা না হয় সে কারণে খুলে রাখা হয় লাল সূর্যটি। আমাদের সকলকে সচেতন হয়ে মন থেকে শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, সব সময় ঠাকুরগাঁও শহীদ মিনারে যেন লাল সূর্য থাকে অবিলম্বে সেটা নিশ্চিত করা হবে।

(এফআইআর/এএস/মার্চ ০১, ২০১৭)