অভিজিত রাহুল বেপারী : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রী তার নিজ স্কুলের লম্পট শিক্ষক কতৃক যৌন লালশার শিকার হয়ে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী ঐ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক ২ সন্তানের জনক মৃনাল কান্তী সিকদার মিন্টু (৫০) কাছে স্কুল রুমে বসে সকাল ৯টায় ইংরেজী বিষয়ে প্রাইভেট পড়ত। হঠাৎ করে শিক্ষক ঐ ছাত্রীটিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগামী দিন সকাল ৮টায় পড়তে যেতে বললে পরের দিন বৃহাস্পতিবার স্কুলে গেলে শিক্ষক মৃনাল কান্তী সিকদার মিন্টু ছাত্রীকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে কারো পায়ের শব্দ পেয়ে লম্পট শিক্ষক তাকে ছেড়ে দিলে ছাত্রীটি কান্না করতে করতে নিচে নামার সময় তার বান্ধবীর সাথে দেখা হলে বান্ধবীর পিড়াপিড়িতে তার কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে, তখন বান্ধবীরা এ ঘটনার বিচার চেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লিখিত ভাবে অবহিত করে। প্রধান শিক্ষক এ ঘটনার কোন প্রতিকার না করে উল্টো যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটিকে ডেকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শাষিয়ে দেয় এবং এলাকার ভয়ংকর বলে খ্যাত মো. মানিক ফকির, খোকন জোমাদ্দার ও জসিম জোমাদ্দার ঐ শিক্ষকের ভাড়াটিয়া হয়ে মেয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে , এবং গতকাল বুধবার সকালে এদের নেতৃত্বে মেয়ের মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে ঝোড় করে স্কুলে নিয়ে এসে বিজ্ঞানাগারে বন্দি করে রেখে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি মর্মে একটি লিখিত নেয়। এ ঘটনা স্থানীয়রা জানতে পারলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয় তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে প্রধান শিক্ষক দুপুর দেড়টায় স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়। এখন মেয়েটির শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত। বর্তমানে মেয়েটিসহ তার পরিবার এক অজানা আতঙ্কে ভুগছে ।

এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহআলম বলেন, আমি ঘটনার ব্যাপারে মৌখিক শুনেছি লিখিত আবেদন পেলে তদন্ত সাাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন আমি ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে শুনলাম, আমি জানার চেষ্টা করছি।

একই ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদার বলেন এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তার বিচার হবে।

(এআরপি/এএস/মার্চ ০২, ২০১৭)