স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে বিহারিদের সঙ্গে পরিবহনশ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আগুন-গুলিতে ১০ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিহারি ক্যাম্পের প্রায় ১০০ বাসিন্দা আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরে আসেন। তাঁরা সড়কে চলন্ত গাড়ি ও পার্ক করে রাখা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করতে থাকেন।

একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকেরা একজোট হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিহারিদের ধাওয়া করেন। এরপর দুই পক্ষে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। উভয় পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুুড়তে থাকে। পরে ধাওয়ার মুখে বিহারিরা চলে যান।

স্ট্রানডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটির (এসপিজিআরসি) কুর্মিটোলা ক্যাম্পের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অথচ প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার। তিনি সরকারের কাছে বিহারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন।’

‘বিহারি’ হিসেবে পরিচিত আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে শনিবার বহিরাগত ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ক্যাম্পের আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হলে ইয়াসিন আলীর পরিবারের নারী-শিশুসহ নয়জন সদস্য পুড়ে মারা যান এবং এক মেয়ে দগ্ধ হন। গুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের বাসিন্দা কারচুপি-শ্রমিক মো. আজাদ।

ওই ঘটনায় পল্লবী থানায় করা ছয়টি মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে তিন হাজার ৭৫৪ জনকে। ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।


(ওএস/এটিআর/জুন ১৭, ২০১৪)