সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : চাঁদার টাকা না পেয়ে এক কলেজ ছাত্রকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জখম করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর মেহেদীবাগে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষ অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মেহেদীবাগের আব্দুল মজিদের ছেলে ও সরকারি কলেজের ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাফুজ আনম।

চিকিৎসাধীন মাহাফুজ জানান, তিনি দু’বছর আগে থেকে গ্রামে ‘সৃজনশীল স্টাডি কোচিং সেন্টার’নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন। কোচিং চালাতে গেলে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে এক বছর আগে তাদের গ্রামের বক্তিয়ার পেশকারের ছেলে সবুজ, নজির আলীর ছেলে ছোট সবুজ, গোলাম মোস্কফার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, আব্দুল খালেকের ছেলে মুন্না ও বারেক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগাত প্রকাশ করায় তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।

মাহফুজ আনমের মা আনোয়ারা বেগম জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইভটিজিং ও ছিনতাইসহ কমপক্ষে ছয়টি মামলার আসামী সোহাগের নেতৃত্বে ওইসব চাঁদাবাজরা হাতে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে তাদের বাড়িতে যেয়ে চাঁদা দাবি করে। মাহফুজকে না পেয়ে তারা রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। মাহফুজকে যেখানে পাবে সেখানে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। একপর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কোচিং থেকে বেরোনোর পর রাস্তার উপর আটক করে ওই চাঁদাবাজরা। একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা করে চলে যায়। পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, মাহফুজ আনমের ডান পা, তলপেট, উরু, ডান পায়ের আঙুলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মামুন হোসেন জানান, এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র মাহফুজ আনমের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(আরকে/এইচআর/এপ্রিল ১০, ২০১৪)