স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সসীমা ২৯ বেঁধে দেওয়া হলেও প্রায় ৩৪ বছর বয়সী আক্তারুজ্জামান রাসেলকে বনানী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে।

নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মাঠ পযায়ের কর্মীদের মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সম্মেলন ছাড়াই বনানী থানা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করার বিষয়টি বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাননি ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতারা। বিষয়টিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে দেখছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

সূত্রমতে, গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ বনানী থানা শাখাসহ আরো দুইটি ওয়ার্ডের কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে বনানী থানায় আকতারুজ্জামান রাসেলকে সভাপতি, মো: রাজ্জাক খানকে সহ-সভাপতি, শেখ মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. আরিফুল ইসলাম শেখকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

বনানী থানার ১৯ নং ওয়ার্ডে রাকিব হোসেনকে সভাপতি ও মো. আল আমিন হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং ২০ নং ওয়ার্ডে মো.শাহ আলমকে সভাপতি ও মো.রুবেল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এদের মধ্যে বনানী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান রাসেল সরকারি তিতুমীর কলেজে ২০০৪-২০০৫ সেশনে ভর্তি হন। ২০০৯ সালে অনার্স ও ২০১০ সালে মার্কেটিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী তার বয়স ৩৩ বছর ৭ মাস ২৮ দিন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সহ-সভাপতি শেখ মেহেদী হাসানকে ফার্মগেট থেকে ডেকে এনে বনানী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর বনানী থানাশাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলমকে তার পদ অবনমন করে ২০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি করা হয়েছে।

বনানী থানা ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি আনিসুর রহমানের অভিযোগ, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সিটিং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। মৌখিক বা লিখিতভাবে সম্মেলন করার নির্দেশও দেয়নি মহানগর কমিটি। বরং বিদায়ী কমিটিকে কিছু না জানিয়ে গঠনতন্ত্র লংঘন করে মহানগর সভাপতি-সম্পাদক নতুন কমিটি দিয়েছেন।

সূত্রমতে, এরই মধ্যে বনানী ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি আনিসুর রহমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এসএসসির সনদপত্রসহ যে কাগজপত্র দেয়া হয়েছে সেগুলোতে সবার বয়স ২৯ বছরের মধ্যে আছে দেখেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। এরপর জেনেছি, সভাপতির বয়স ২৯ এর বেশি। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, ‘৩৪ বছর বয়সী একজনকে সভাপতি করা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নেব।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৬, ২০১৭)