লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে চর দৌলতপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ ৯জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩টি বাড়ি ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওযা গেছে। আহতদের লোহাগড়া হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর গ্রামের ইউপি সদস্য আকিদুল কাজী সমর্থিত লোকজনদের সাথে পার্শ^বর্তী দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের ফজর চৌধুরী সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। এ ঘটনায় আকিদুল কাজী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই সংঘর্ষে আহত আশিক কাজী (১৮) চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে চর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান চলাকালে ইউপি সদস্য আকিদুল কাজীর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের ফজর চৌধুরী, গঞ্জের চৌধুরী ও আব্দুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, ধান-চাল, মুসুরী, গম, জমির দলিল, নগদ টাকা, মোবাইল ও ৮টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে বলে আব্দুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন। ভাংচুর ঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসীরা ফজর চৌধুরী, গঞ্জের চৌধুরী, আব্দুর রহমান চৌধুরী, সুরাইয়া বেগম, শাহিদা বেগম, আছিয়া খানম, কিনান চৌধুরী, লিখন ও ইয়ামিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের লোহাগড়া হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

লোহাগড়া থানার এসআই কেএম জাফর আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আব্দুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

(আরএম/এএস/মার্চ ১০, ২০১৭)