কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের “এফ” ইউনিটে ভর্তি বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদ্য বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আব্দুর রাজ্জাক মিলানায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিতহয়।

এ সময় “এফ” ইউনিটের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন একই বিভাগের ছাত্র শুভম গোস্বামী ধ্রুব।

লিখিত বক্তব্যে ধ্রুব বলেন, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা দেই এবং আমাদের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। আমরা ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হই। এই বছরের জানুয়ারী মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখে আমাদের ভাইভা নেওয়া হয় এবং ২৯ তারিখের মধ্যে আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।

“এফ” ইউনিটের ভর্তির আসন ছিল ১০০ টি যার মধ্যে প্রথম ১০০ জনের মেরিটলিস্টের ৩৬ জন ভর্তি হয়নাই। ওয়েটিং থেকে পুনরায় ভাইভা নিয়ে বাকী আসনগুলো পূর্ণ করা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের সেন্ট্রালওরিয়েন্টেশন নেওয়া হয়। আমরা রুটিন মোতাবেক প্রতিদিন ক্লাসে আসতাম, আমাদের রোল ডাকা হত। স্যাররা ক্লাসে আমাদের বই কিনতে বলেছিলেন, স্যারদের কথামত আমরা অনেক বই কিনেছি। আমাদের ক্লাস টেস্টের তারিখ দেওয়া হয়েছে, আমরা আমাদের অনার্সের একাডেমিক পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ “এফ” ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে “এফ” ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পেলে গত ৬ মার্চ হঠাৎ করেই সিন্ডিকেট বসে এবং আমাদের পুরো ১০০ জনের ভর্তি বাতিল করে দেয়।

এদিকে আমাদের নির্দোষ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বা দুই বছর কঠোর পরিশ্রম করেও যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপাওয়া অনেক কঠিন সেখানে মাত্র সাতদিনে সেইটা অসম্ভব। এরই প্রেক্ষিতে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের আইনানুগব্যবস্থা ও নির্দোষীদের ভর্তি বহাল রাখার দাবি করেন।

(কেকে/এএস/মার্চ ১০, ২০১৭)