সাহিত্য ডেস্ক : বিশাল বাংলা প্রকাশনী সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন শাখায় মোট ২১ জন লেখককে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্যসচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। এ ছাড়া ছিলেন কবি, লেখক, সাংবাদিকসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা গুণীজন।

‘অগ্নিকন্যা’ গ্রন্থের জন্য জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামালের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

কালের কণ্ঠ’র নির্বাহী সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল উপন্যাস শাখায় পেলেন ‘বিশাল বাংলা সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭’। প্রকাশনা সংস্থা পার্ল পাবলিকেশনস থেকে এবার একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত ‘অগ্নিকন্যা’ উপন্যাসের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁর হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ২০টি বইয়ের লেখককে পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কার গ্রহণ করে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল বলেন, “রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লেখা ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘অগ্নিকন্যা’। বইটি লিখতে আমাকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে হয়েছে, প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই বইটি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় আমি আনন্দিত। ” অনুষ্ঠানে নিজের লেখালেখি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন যুগ ধরে সৃজনশীল লেখালেখি করি। প্রতিদিন পড়ি, প্রতিদিনই নিয়ম করে লিখি। লেখালেখি আমার কাছে প্রার্থনার মতো। ’

পুরস্কার তুলে দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কবি ও লেখকরা হলেন সমাজের দর্পণ। তাঁর সৃষ্টিশীল রচনা যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, তেমনি জাগ্রত করে মন ও মননকে। ’

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশাল বাংলা প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী প্রবীণ সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শহীদুল হক খান। পুরস্কারের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের সংস্কৃতির প্রধান শক্তি। আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের প্রধান অবলম্বন। গ্রন্থমেলায় প্রতিবছর অনেক বই প্রকাশিত হয়। সেসবের মধ্য থেকে নির্বাচিত কয়েকটি বইকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশাল বাংলা প্রকাশনী প্রতিবছর পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে। অমর একুশকে স্মরণ করে বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে একুশটি বইয়ের লেখককে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করে বিশাল বাংলা।’

অনুষ্ঠানে ভ্রমণ শাখায় পুরস্কার পান কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক, কবি ও লেখক নওশাদ জামিল। পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত ‘লঙ্কাপুরীর দিনরাত্রি’ বইটির জন্য এ পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া যেসব বইয়ের লেখক পুরস্কার ও সম্মাননা পান তাঁরা হলেন- সেলিনা হোসেন (মুক্তিযুদ্ধের বাছাই গল্প), কাজী রোজী (বাতাসের বৈঠা), হাসান হাফিজ (আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি), মাসুদ আহমেদ (রৌদ্রবেলা ও ঝরাফুল), গোলাম কুদ্দুস (কালের ধ্বনি), ফকির আলমগীর (পপ গানের একাল সেকাল), কবরী (স্মৃতিটুকু থাক), তারিক আনাম খান (নাটক সমগ্র), ফরিদা ইয়াসমিন (ইতিহাসের আয়নায় বঙ্গবন্ধু), আনজীর লিটন (ও ছড়া তুই যাস কই), গুলতেকিন খান (দূর দ্রাঘিমায়), ড. শাহাদাত হোসেন নিপু (বাংলা নাটক : উনিশ থেকে বিশে), মো. নুরুল আলম (বঙ্গবন্ধুর দাফন, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ), সামিয়া রহমান (আধাখিঁচড়ে গল্প), পলাশ মাহবুব (লজিক বাবু), আনিস আলমগীর (ধর্ম নিয়ে ব্যবসা), হেলেনা জাহাঙ্গীর (সূর্যের প্রতীক্ষায়), ড. নাসরীন জেবিন (মোহিনীর জন্য) ও শামীম হোসেন (ডুমুরের আয়ু)।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৭)