নিউজ ডেস্ক : আজ ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধে মুক্তিবাহিনীর সংগঠন ও সমন্বয়ে, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) পাঠ করা হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন। সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন। এ ভাষণ অবরুদ্ধ দেশবাসীকে আরো সাহস জোগায় ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, আমাদের এ যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে স্থির বিশ্বাস। প্রতিদিনই আমাদের শক্তি বাড়ছে। আর এ সংগ্রাম বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি লাভ করছে।

১৩ এপ্রিল ৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম এবং মন্ত্রীদের মাঝে দপ্তর বণ্টন করা হয়। ১৪ এপ্রিল কর্নেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। সরকার গঠনের পর শপথ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

১৭ এপ্রিল আমাদের ইতিহাসে আরেক গৌরবোজ্জ্বল দিন। মেহেরপুরের সীমান্ত লাগোয়া বৈদ্যনাথতলার এক বিশাল আমবাগানে অতি গোপনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের আয়োজন করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নতুন সরকার শপথ নেয়। স্থানটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর সরকার সফলতার সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।


(ওএস/এটি/এপ্রিল ১০, ২০১৪)