মোস্তাফিজ নোমান, ত্রিশাল : ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়েরর নাট্যকলা ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের আয়োজনে  ৮ দিনব্যাপী ২য় নাট্যোৎসব চলছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দেশনায় তাদের নাটক পরিবেশন করছে।

উদ্বোধনী দিনে ভিসি প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম এ নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন। নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইসমত আরা ভূইয়া ইলার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাট্যকলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান রুহুল আমিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর এএমএম শামসুর রহমান।

উদ্বোধনী দিনে হেনরিক ইবসেন রচিত ও দিদারুল হক পান্নার নির্দেশনায় নাটক এ ডলস হাউজ, মোহিত চট্যোপাধ্যায় রচিত ও প্রিয়াংকা কুন্ডুর নির্দেশনায় নাটক সোনার তরী ও মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রচিত ও সুরাইয়া আক্তার নির্দেশিত নাটক দ্বিধা পরিবেশিত হয়। নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ভিসি প্রফেসর ড.মোহীত উল আলমের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

পরে মোহীত চট্রোপধ্যায়ের সোনার চাবি, মমতাজ উদ্দিন আহমেদের দিধা, ব্রাত্য বসুর চতুস্কোন, ইউকিও মিশিমা লেডি আওই, বৃদ্ধবেদ বসুর প্রথম পার্থ, কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্যাপতি, হারুন অর রমীদের পঞ্চনারী আখ্যান, মান্নান হীরার বৌ, মেহেরজান, মোহীত চট্রোপধ্যায়ের বাজপাখী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর, জ্যাপল সার্তের নো এক্সিট, টেনিসো উইলিয়ামের ফিনিক্স, উজ্জল চট্টোপধ্যায়ের জীবস্দৃতের যুক্তিপ্রকল্প, মলিয়ের ভদ্দরনোক, মোহীত চট্রোপধ্যায় বাইরের দরজা, ব্রাত্য বেল এর ফোর্থ বেল, মমতাজ উদ্দিন আহমেদের এই রোধ এই বৃষ্টি, আব্দুল্লাহ আল মামুনের এখনও ক্রীতদাস, বৃদ্ধদেব বসুর কলকাতার ইলেকট্রা, মোহীত চট্রোপধ্যায়ের লাঠি, সেলিম আল দীনের লাঠি নাটক পরিবেশিত হয়।

মোহীত চট্রোপধ্যায় রচিত বাজপাখি নাটকের নির্দেশক তনিমা সাহা বলেন-আমার শিক্ষক রুহুল আমিন স্যারে সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার শিক্ষা জীবনের প্রথম নাটকের নির্দেশনাটি আমার সবটুকু দিয়ে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছি। নাটক মুল বিষয় বস্তু হল আহার নিদ্রা প্রজন এই তিন চাকার গাড়িতে চড়তে চড়তে মনুষ্য জাতি পরিনত হচ্ছে এক এক ভয়াবহ যন্ত্রে। পৃথিবীটার চারপাশ দু চোখ মেলে দেখার সত্তেও আমরা দেখছিনা।নিজেটা নিজেদের ফাকি দিয়ে যাচ্ছি। কোথাও যেন সুতো ছেড়া টান আমাদের যোগ নেই। অস্তিত্ব সংকটের এই তীরে এসে নাট্যকার অস্তিত্বের বিষয়ে সতেচন হওয়ার কথা বলেছেন বাজপাখির মাধ্যমে। ব্যক্তি যদি তার অস্তিতের বিষয়ে সচেতন তবে তাকে শোষণ করা যায়না। এমতাবস্থায় আমাদের চারপাশে ব্যক্তি সচেতনতা অর্জনের লক্ষ্যে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করেছি। নাটকটির মাধ্যমে জীবনের কিছু বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে।

নাট্যউৎসবের নির্দেশক রুহুল আমীন জানান, আমরা নাট্য উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থী একাডেমিক বিষযটাকেই গুরুত্ব দিয়েছি বেশী। সবার নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভাল করার চেষ্টা করেছে। প্রতিটা শিক্ষার্থী অনেক মেধাবী, নাটক নির্দেশনার মাধ্যমে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।

(এমএন/এএস/মার্চ ১৩, ২০১৭)