নোয়াখালী প্রতিনিধি : পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে তলিয়ে গেছে হাতিয়ার অর্ধশতাধিক গ্রাম। এতে নষ্ট হয়েছে কয়েকশ একর জমির আউশ ধান,তরকারী ও শাক সবজি। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। দেখা দিয়েছে গবাদিপশুসহ গৃহপালিত পশু-পাখির খাদ্যের সঙ্কট। গ্রামের কাঁচা সড়কগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।

হাতিয়ার ৫ ইউনিয়নের ভাঙা বেড়িবাধ সংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নিঝুমদ্বীপসহ চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করার কারণে জোয়ারের পানিতে দিয়ে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

নলচিরা, সুখচর, নলেরচর, নিঝুমদ্বীপ, তমরদ্দি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা গত ৩ দিন ধরে পানির নিচে রয়েছে।

বুধবার বিকেলে পানিবন্দি এলাকায় দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে। ৩ দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ বাড়িতে ভাত রান্না হচ্ছেনা। অনেক পরিবারে চুলায় আগুন জ্বালানোর অবস্থাও নেই। অনেকে বাড়িতে ভাত রান্না করতে না পেরে অনাহারে রয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, বিধ্বস্ত বেড়িবাধ সংস্কার না করায় গত ৩ দিন ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্লাহ গ্রাম, রামচরণ বাজার, কামালবাজার, চেয়ারম্যান বাজার, বৌবাজার, দাসপাড়া, কাহার গ্রাম, দরগা গ্রাম, বাদশা মিয়াগো গ্রাম, কাদির সর্দার গ্রাম ও মালিশাগো গ্রাম তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মো. মঈনউদ্দিন বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার অব্যাহত রয়েছে। এতে দ্বীপের নিচু এলাকাগুলোর বেশিরভাগই তলিয়ে গেছে। গত ৩ দিনে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা কমলে বেড়িবাধ সংস্কার করা হবে। আমরা সার্বক্ষনিক ওইসব এলাকার লোকজনের খোঁজ খবর রাখছি।’
(ওএস/এএস/জুন ১৮, ২০১৪)