প্রবীর সিকদার


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ও মৃত্যুদিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধুর নামে দুইদিন সরকারি ছুটি থাকায় অনেকেই কটাক্ষ করে থাকেন। আমি ওই কটাক্ষকারীদের প্রতি থু থু নিক্ষেপ করেই বলছি, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আমরা সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে জাঁকজমকের সাথে পালন করবো; তবে ওই দিনের সরকারি ছুটি প্রত্যাহার কিংবা বাতিল করে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করবার একটাই দিন, সেটি হচ্ছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।

সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেশীরভাগেরই যে মানসিকতা আমি লক্ষ্য করেছি তাতে, সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গববন্ধুর জন্মদিন পালিত হয় না বললেই চলে; যারা পালন করেন তারাও দায়সারা ভাবেই করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেউ কেউ আবার ধান্ধা করে দুই দিনের ছুটি ভোগ করেন। ১৭ মার্চ সরকারি ছুটি ভোগ করেন এবং পরে কোনও একদিন বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের নামে আরেকটি ছুটির স্বাদ গ্রহণ করেন। ওদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটা প্রধান নয়, ছুটিটাই প্রধান। যে মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না, আমরা সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার হতে পারতাম না, তাঁর জন্মদিনে অবজ্ঞা কিংবা দায়সারা অনুষ্ঠান মেনে নেওয়া যায় না।

আমার প্রত্যাশা কিংবা দাবি, ১৭ মার্চ সরকারি ছুটি বাতিল করে সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস জাঁকজমকের সাথে পালনের নিশ্চয়তার পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।

(পিএস/এএস/মার্চ ১৬, ২০১৭)