হে স্বাধীনতা

নতুন সূর্যের হাতছানি- হে স্বাধীনতা,
বঙ্গের জয়, জনতার জয়-
পুর্ব দিগন্তের নতুন সূর্যের সোনালী ঝলক ,
তুমি সন্তান হারা মায়ের গতি হে স্বাধীনতা।
পথে পথে পথিক, দিগন্তের- উন্মুক্ত পথ মাড়িয়ে-
মা এটু তাকাও, সকল কষ্ট ভুলে,
লাল সবুজের উজ্বল পতাকায় তুমি হাসো দিপ্তীমান হয়ে।
অবারিত নিলাকাশ স্পর্শ করো মুগ্ধ পরশে তুমি- মা
মুক্তা ঝরা হাসিতে।
কিসের দুঃখ যন্ত্রণা আছে হাজার লাখো কোটি সন্তান।
আজ আনন্দের দিন হে স্বাধীনতা,
দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলে-
তারপর রাত পেরিয়ে
ভোরে পূর্ণ প্রাণে জাগো হে স্বাধীনতা।
সবুজ নরম ঘাসে-কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে ধীরে-
সূর্য তখনো ডুবেনি অস্তাচলে নিরবে।
আধারের আহ্বানে ক্ষণিকের নিরবতা-
গোধুলি বেলা, একটু তাকাও সঙ্গোপনে,
এখনো সূর্য উকি দেয় মেঘের আড়ালে।
তার পর কৃঞ্চ কালো ছায়া নেমে আসে ধরায়।
হারানোর ভয় গভীর অন্ধকারে-
আর যাবে না দূরে-থেমে যাও পথিক,
নীরব স্তব্ধ প্রকৃতির বুকে।
ঝিরি ঝিরি বাতাসে,
ভৌতিক অজানা অচেনা শব্দ,
আজো শুনি বাতাসে।
অনুভবে তুমি আঁচ করতে পারছো-
ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে চিৎতকার করো,
তবুও নিরব অন্ধকারে শুধু তুমি।
দিবসের শেষে রাত্রির আধার পেরিয়ে-
আজো মনে পড়ে ভয়াল সেই
গোলার গর্জনের স্মৃতি,
নিরব কান্নায় কত মুখ আজো গোপনে-
নিরব ব্যথায় যন্ত্রণায় মুখে কাপড় ঢেকে পথ চলা।
আবার আসে ফিরে সকাল দুপুর গড়িয়ে,
মনে রেখো যন্ত্রণাময় এ দুঃখ স্মৃতির কথা
হে স্বাধীনতা তুমি উচ্ছ্বল দিগন্তের অম্লান মায়াময় হাসি।
হে প্রকৃতি পূর্ণ-আবেশে নব-রুপে গোধুলি বেলা-।
অবারিত ঢেউয়ের মতো হেসে বেড়াও হে স্বাধীনতা।