রায়পুর (লক্ষ্মীপর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিকার না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

ভাংচুরকারীরা প্রকাশ্য ঘুরলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। থমথমে অবস্থায় রয়েছে হায়দরগঞ্জ বাজার এলাকা। নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামালা ও প্রধানমন্ত্রীর এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হায়দরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ ও চরআবাবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. আজিজের সাথে রাত ৮ টার দিকে গাজী মার্কেট এলাকায় কথা কাটাকাটি হয়। পাপেল ওই সময় আজিজকে লাঞ্ছিত করে। এর জের ধরে আজিজ ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী নিয়ে পাপেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হায়দরগঞ্জ বাজারে মিছিল করে। মিছিল শেষে আজিজ বাজারের স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে গেছে এমন খবর পেয়ে পাপেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে ও তার ভাই যুবলীগ নেতা লিটন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক ক্যাডার নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসের ব্যাপক হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে চলে যায়। এসময় কেউ আহত হয়নি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক তানভির হায়দর চৌধুরী রিংকু বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ ও তাঁর ক্যাডাররা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিস ভাংচুর করে তান্ডব চালিয়েছেন। তাদের তান্ডব থেকে বাদ পড়েনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবিও। ছাত্রলীগ নামধারী এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন না রিসিভ করায় তার বক্তব্য পাওয়া য়ানি। তবে সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ জনি বলেন, ছাত্রলীগ হয়ে নিজ দলীয় অফিসে হামলার ঘটনাটি অতান্ত দুঃখ জনক। আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার তদন্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্থানী ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(পিকেআর/এএস/মার্চ ২৬, ২০১৭)